বিশ জন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন খাদিজা
Posted - 23 August, 2021
খাদিজা আক্তার (২৮), এমএসএস- এর নারী ঋণ কর্মসূচির (অগ্রসর) সদস্য। বাস করেন কেরাণীগঞ্জ উপজেলার আগানগর, জিনজিরায়। এ বয়সে অনেকেই যেখানে চাকরি করছেন বা চেষ্টায় রয়েছেন, সেখানে খাদিজা সংসার ও ব্যবসা সামলিয়ে প্রায় ২০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। খাদিজার সফলতা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার এক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভাবের সংসারে মাত্র দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার সুযোগ হয় খাদিজার। এরপর তার বিয়ে হয়ে যায়। খাদিজার স্বামী একজন ব্যবসায়ী। তিনি ছোট পোশাকের দোকান চালাতেন। দোকানের ঐ অল্প আয় দিয়েই কষ্টে সংসার চালাতে হতো তাদের। কিন্তু বাকি জীবনটা এভাবে কাটাতে চাননি খাদিজা। স্বাবলম্বী হবার প্রচণ্ড ইচ্ছা শক্তি ছিল তার। আর সে ইচ্ছা থেকেই খাদিজা এমএসএস- এর নারী ঋণ কর্মসূচির সদস্য হন।
সময় মতো এমএসএস- থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে খাদিজাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ঋণ সহায়তা গ্রহণ করার চার বছরের মাথায় তাদের পোশাক ব্যবসার বর্তমান মূলধন দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ টাকার মতো। এখন তারা মাসে প্রায় ৯০ হাজার টাকা আয় করছেন। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে বর্তমানে চাকরি করছেন প্রায় ২০ জন দরিদ্র ব্যক্তি। এছাড়াও ব্যবসার আয় থেকে তারা পূর্বের এক তলা টিনের বাড়িকে এখন ২ তলা পাকা বাড়িতে রূপান্তরিত করেছেন। সব মিলিয়ে নিজেদের মেধা আর পরিশ্রমের ফলে স্বাচ্ছন্দে জীবন কাটাচ্ছে খাদিজার পরিবার।
খাদিজা আক্তার তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, “ আমি ব্যবসা আরও বড় করতে চাই এবং অনেক লোকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চাই। এমএসএস পাশে থাকলে আমরা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব।”
 
             
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                  
SHARE