রেশমীর এখন মাসে আয় দেড় লাখ টাকা

স্বামীর গার্মেন্টসে চাকরি আর সন্তান নিয়ে ঘর সামলানো, এই গন্ডিতেই থমকে ছিল রেশমীর জীবন। স্বল্প আয়ের টানাপোড়েনের সংসার। তবে ছোট্ট ঘরের জানালায় তাকিয়ে যারা আকাশ স্পর্শ করার সংকল্প করেন এবং দৃঢ় থাকেন পরিশ্রমে, ভাগ্যও হয়ত তাদের বিমুখ করে না। রেশমীর গল্পটাও তেমনই। এমএসএস ১০৯ নং শাখার অগ্রসর ঋণী সদস্য নিশি আক্তার রেশমী এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। একটি ছোট পোশাক কারখানা রয়েছে তার। খরচাপাতি শেষে এখন তার মাসিক উপার্জন প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। গাজীপুর সদরের দক্ষিণ পানিশাইল এলাকায় স্বামী ও ২ জন সন্তান নিয়ে রেশমীর বসবাস। রেশমীর স্বামী ইমন পোশাক শিল্প কারখানায় কাজ করেছেন, এ বিষয়ে মোটামুটি জানাশোনা ছিল তার। এখান থেকেই মিনি গার্মেন্টস-এর পরিকল্পনা।

রেশমী-ইমনের লক্ষ্য আর সাফল্যের মাঝখানের প্রয়োজনীয় পুঁজির সংযোগ পূরণ করেছে এমএসএস। এখন রেশমীর কারখানায় ৯টি ইলেকট্রিক মেশিন, নিয়মিত কাজ করেন ৫ জন কর্মচারী। এখান থেকে তৈরীকৃত পোশাক ইমন বিভিন্ন মার্কেটে পাইকারি দরে বিক্রি করেন। এ ছাড়াও এই কারখানায় তারা প্রতি মাসে ১০-১২ জনকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেন। এই প্রশিক্ষণ ফি বাবদ তারা জনপ্রতি ৩-৪ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। রেশমী জানান, নিজের অবস্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি আরও মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা তার জন্য অত্যন্ত সাফল্যময় অনুভূতি। ভবিষ্যতে নিজের ব্যবসাকে আরো বিস্তৃত এবং সুসংহত অবস্থানে নিয়ে যেতে চান এই উদ্যোক্তা।

  • SHARE

Latest Stories