অদম্য দেলোয়ারের হার না মানা গল্প

অভাবের সংসারে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ৮ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনকে কর্মজীবনে নামিয়ে দেন তার বাবা। এরপর আর স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয় নি তার। একটি কাপড় তৈরির কারখানায় বাবার সাথে যোগালীর কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ বাবার মৃত্যুতে মা এবং ছোট ভাইদের দেখভালের দায়িত্ব পড়ে দেলোয়ারের কাঁধে। অতিরিক্ত কাজ করে সংসারে প্রয়োজনীয় অর্থ যোগান দিতে নতুন সংগ্রাম শুরু হয় তার।

শ্রমিকের কাজ করলেও নিজস্ব একটি কারখানার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। স্বপ্ন পূরণে কারখানায় কাজের পাশাপাশি টাকা ধার করে দুটি মেশিন কিনে কাপড় তৈরি শুরু করেন দেলোয়ার। তিনি বুঝতে পারেন স্বপ্ন পূরণে তাকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। নিজের স্বপ্নের পালে হাওয়া দিতে দেলোয়ার মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস) থেকে ৩০০০০০ টাকা ঋন নিয়ে নতুন ৬টি মেশিন ক্রয় করেন। এরপর ধীরে ধীরে ঘুরতে থাকে দেলোয়ারের ভাগ্যের চাকা।নরসিংদীর সন্তান দেলোয়ার হোসেন এমএসএস ৮ নং জোনের ২৪ নং এরিয়ার ৩৩ নং শাখার সদস্য।

বর্তমানে তিনি ’মেসার্স ফারজানা বস্ত্র বিতান’- নামক স্ব প্রতিষ্ঠিত একটি কারখানার সত্ত¡াধিকারী। যেখানে ৪৬ টি মেশিন নিজে তদারকি ছাড়াও ৩৮টি মেশিন ভাড়ায় চালাচ্ছেন। সকল খরচ বাদে বর্তমানে দেলোয়ারের মাসিক আয় ৬-৭ লক্ষ টাকা। ছোটভাইদের পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি ইতিমধ্যে ১০শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করেছেন।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে দেলোয়ার বলেন, ”অনেক কষ্ট করে আমি আজকের এই অবস্থানে এসেছি। আমি আমার কষ্টের দিনের কথা ভুলে যাই নি। আমার খারাপ সময়ে পাশে থাকার জন্য আমি সব সময় এমএসএস এর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আমার প্রতিষ্ঠানকে আরও বৃহৎ রুপ দিয়ে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করতে চাই।

  • SHARE

Latest Stories