স্বামীর অনুপ্রেরণায় রাশেদার ভাগ্য বদল

নিজ বাড়িতে তৈরি খামারে কখনো মুরগীর খাবার দিচ্ছেন, কখনো ডিম সংগ্রহ করছেন, আবার কখনো গরুর খামারে গিয়ে ঘাসগুলো নেড়েচেড়ে দিচ্ছেন। নিত্যদিনের এই গল্পটি রংপুর সদর উপজেলার নিউ সাহেবগঞ্জ গ্রামের রাশেদা বেগমের। একজন পরিশ্রমী ও সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ইতিমধ্যে যিনি নিজ এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন।

বাড়ির আঙ্গিনায় পরিত্যক্ত জমিকে কাজে লাগানোর কথা চিন্তা থেকেই ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করেন রাশেদা। স্বামী বেলাল মোল্লা পেশায় অটো চালক হলেও স্ত্রীর ইচ্ছে পূরণের জন্য মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস) থেকে ঋণ নিয়ে একটি গাভী ও কয়েকটি মুরগী কিনে ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা শুরু করেন। স্বামী-স্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে এই খামারের মাধ্যমে অল্পদিনেই পরিবারের পরিবারের আয় পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন। লাভের টাকা দিয়ে নিজেদের পুরাতন বাড়ি মেরামত করে সন্তানদের নিয়ে স্বচ্ছন্দে বসবাস করছেন তারা।

এমএসএস ৬নং জোনের ১৮নং এরিয়ার ৩৮ নং শাখার সদস্য রাশেদা জানান, “শুরুর সময়টা সংগ্রামের ছিল। জামানত না থাকায় কোন ব্যাংক থেকেও ঋণ পাওয়া সম্ভব হয় নি। তখন আমার স্বামী এমএসএস সম্পর্কে জানতে পেরে আবেদন করলে তারা কয়েকদিনে মধ্যেই আমাকে ঋণ দেয়।”

তিনি আরো বলেন, “সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারাই সফল উদ্যোক্তার বৈশিষ্ট্য। এমএসএস আমাকে সঠিক সময়ে ঋণ দিয়ে আমাকে সফল উদ্যোক্তা বানাতে অবদান রেখেছে।”

ভবিষ্যতে গরু ও মুরগীর খামার সম্প্রসারিত করার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাশেদা বেগম।

  • SHARE

Latest Stories