মালেকা-জাভেদ পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরালো এমএসএস
Posted - 27 June, 2023
এক সময়ের হতদরিদ্র কৃষক মালেকা-জাভেদ দম্পতি ভেড়া পালন করে সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন। পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার পূর্ব হারল পাড়া গ্রামের একজন সফল গৃহিনী মালেকা খাতুন। মালেকা খাতুন জয় করেছেন দারিদ্রতাকে। ভেড়ার খামার করে হাসি ফুটিয়েছেন সন্তানদের মুখে।
মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)-এর একজন ঋণী সদস্য মোছাঃ মালেকা খাতুন। তিনি সংস্থার ৭নং জোনের অন্তর্ভূক্ত ৩৫ নং এরিয়ার ৭৩ নং শাখার সদস্য। স্বামীর নাম মোঃ জাভেদ আলী প্রমানিক। তাঁদের সংসারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে মালেকা এমএসএস- এর এসএমএপি ঋণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হন। প্রায় ০৭ মাস আগে তিনি প্রথমবারের মতো সংস্থা থেকে ঋণ নেন। ঋনের টাকায় প্রতিবেশির পরামর্শে স্বামী-স্ত্রী মিলে ভেড়া পালন শুরু করেন। পূর্বে শুধুমাত্র কৃষি কাজ করেই পরিবারের ভরণ পোষন করতেন, যা দিয়ে অত্যন্ত কষ্টে দিন যাপন করতে হতো।
এখন অবধি মালেকা খাতুন মোট ২ বার ঋণ নিয়েছেন। বর্তমানে ঋনের পরিমান ১ লক্ষ টাকা। ঋণ নেবার পর আয় বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। আগে টিন সেডের ঘরে থাকলেও এখন থাকেন পাকা বাড়ীতে। আগে যেখানে মাসিক আয় ১৫ হাজার ছিল সেখানে ঋন নিয়ে খামার করার পর বর্তমান তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। সদস্যের ব্যবসায় মূলধন এখন প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে এখন প্রতি মাসে লাভ করেন প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
ছেলে-মেয়ে নিয়ে মোটামুটি স্বচ্ছলভাবে দিনাতিপাত করছেন বলে জানান মালেকা-জাভেদ দম্পতি। পূর্বের অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থা ভাল হওয়াতে আগামি দিনে খামার সম্প্রসারণ করবেন বলে জানান এই দম্পতি।
এ সময় মালেকা আরও জানান, “ঐ সময় মানবিক সাহায্য সংস্থা পাশে ছিল বলেই আজ আমি স্বামী-সন্তান নিয়ে সচ্ছল জীবন-যাপন করছি। তাদের আর্থিক সাহায্য, পরামর্শ সবটাই আমার অবস্থার পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”
 
             
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                  
SHARE