প্লাস্টিকের মাদুর ব্যবসায় রুনা বেগমের দিন বদল

পরিশ্রম, ইচ্ছা আর ভাগ্য সহায় থাকলে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন সময়ের ব্যাপার মাত্র। রুনা বেগম, এমএসএস এর অগ্রসর ঋণী সদস্য। দুই বছর আগেও তার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না। দৈনন্দিন আয় রোজগার আর ছোটখাটো ব্যবসা করে দিন চলতো তাদের। থাকতেন টিন শেড বাসায়। আর এখন তার অবস্থা রূপকথার গল্পের মতো।
টিন শেড বাসা থেকে ফ্ল্যাট বাসায় এসেছেন। ছেলে-মেয়েদের ভালো স্কুলে পড়াচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা তার মাধ্যমে ৪১টি পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে! নওগাঁর কাঠালতলী এলাকাকার এই উদ্যোক্তা ২ বছর আগে এমএসএস-এর কাছ থেকে চার লক্ষ টাকার ঋণ সহায়তা নেন। আর দু বছর পর তার বর্তমান মূলধন ৬০ লক্ষ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। মাসিক আয় ২ লাখ টাকার উপরে। অবস্থাটা রূপকথার মতোই তো, তাই না? কিন্তু রুনা বেগমের রূপকথার এই গল্প একদিনেই তৈরি হয়নি, সময় লেগেছে। তার এই সফলতা যে একক পরিশ্রমের ফসল নয় তা তিনি খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন।
“আমার স্বামী (মোঃ আবু রাশেদ) আমাদের এই ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য মেধা ব্যয় করেছেন। আমার কর্মচারিরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। এমএসএস আমাকে ঋণ দিয়ে সহায়তা করেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের এ দিন বদল হয়েছে। আমি আমার স্বামী, এমএসএস এবং আমার কর্মচারিদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

  • SHARE

Latest Stories