দিনমজুর রাজ্জাকের উথানের গল্প
Posted - 21 March, 2024
কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে বগুড়ার কাহালু উপজেলা সুপরিচিত। বিশেষ করে আলু, মরিচ, ধান ও সরিষা চাষাবাদ করে এখানকার অনেকেই জীবিকা নির্ভর করেন। তবে দিনমজুর রাজ্জাকের গল্পটা ছিলো একটু ভিন্ন। শৈশব থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত থাকলেও নিজস্ব জমি না থাকায় কখনো বাবার সাথে আবার কখনো নিজে একা অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেছেন।
নিজে চাষাবাদ করার স্বপ্ন দেখলেও অর্থাভাবে সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি তিনি। এসময় তার আশার পালে হাওয়া দিয়েছে মানবিক সাহায্য সংস্থার জামানতবিহীন সহজ ঋণ।
ঋণের অর্ধেক টাকায় জমি লিজ নিয়ে বাকি টাকায় বীজ ও সার ক্রয় করে চাষাবাদের প্রথম বছরেই ৪৫০,০০০ টাকার মরিচ বিক্রি করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় একই পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে লাভের টাকায় ২টি সঙ্কর (অস্ট্রেলিয়ান) জাতের গাভী ক্রয় করেন। বর্তমানে রাজ্জাকের খামারে বাছুরসহ ৪টি গাভী রয়েছে। এছাড়াও দৈনিক দুধ বিক্রি করে তিনি আয় করছেন প্রায় ১৪০০ টাকা।
এমএসএস ২নং জোনের ২৯নং এরিয়ার ১২৪নং শাখার সদস্য রাজ্জাক বলেন, “আমার আয় পূর্বের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে। আমার মতো দিনমজুরের এমন ভাগ্যবদলে স্থানীয়রা অবাক হয়েছেন। মানবিক সাহায্য সংস্থার জামানতবিহীন সহজ ঋণ ও কারিগরি সহায়তা ছিল বলেই আমি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমি এমএসএস, স্থানীয় কৃষি অফিস ও যারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
 
             
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                  
SHARE