এমএসএস-এর ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ালেন মোস্তারী খাতুন
Posted - 26 April, 2023
মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)-এর বগুড়া জেলায় ০২নং জোনের অন্তর্ভূক্ত ১৭নং এরিয়ার ৮১নং শাখার সদস্য মোছাঃ মোস্তারী খাতুন। বগুড়ার সদর উপজেলার নাটাইপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। স্বামী মোঃ আশাদুল হক জনি। বিএ পাশ করার পর থেকেই মোস্তারীর স্বপ্ন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে সাংসারিক ব্যয়ভার ভাগ করে নেবেন স্বামীর সঙ্গে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকে ব্যবসায়ের ধারণা নিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ৩ বছর আগে মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)- এর অগ্রসর ঋণ প্রকল্পের আওতায় ঋণ নিয়ে কম্পিউটারের সফটওয়্যারের ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
ব্যবসা পরিচালনার প্রয়োজনে এমএসএস থেকে ৩ বার ঋণ নেন মোস্তারী। বর্তমান তার ঋণের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা। ব্যবসায়ের বর্তমান মূলধন ৫০ লাখ টাকা। তার “কম্পিউটার সেন্টার” নামের এ প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন ব্যক্তির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতি মাসে কর্মচারীদের বেতন বাবদ ১০ লাখ টাকা এবং ব্যবসায়ের অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। ব্যবসা থেকে মোস্তারীর মাসিক আয় হয় ২০ লাখ টাকা। এছাড়া সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে তাঁর লাভ থাকে ৬ লাখ টাকা।
স্বামী-সন্তানসহ মোস্তারী আগে টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন। ব্যবসায়ে লাভবান হয়ে তিনি এখন পরিবার নিয়ে ফ্ল্যাট বাসায় থাকেন। মোস্তারীর নিজের ইচ্ছেশক্তির জোরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে তিনি ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরো প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি বেশি বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চান। তাঁর এ স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার জন্য এমএসএস- এর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোস্তারী।
 
             
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                  
SHARE