জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রশিদার সাফল্য
Posted - 15 December, 2021
ঠাকুরগাঁও জোন এর ১৫ নং শাখার ঋণী সদস্য মোছাঃ রশিদা খাতুনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর সাহা পাড়া এলাকায়। বাবা-মা, স্বামী-সন্তান সহ ৭ সদস্যের পরিবার তাঁর। পরিবারের ভরণপোষণ চালাতে হিমশিম না খেতে হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না রশিদার সংসারে। সাংসারিক আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি নিজের কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা মূলধন নিয়ে চিজ বা পনিরের ব্যবসা শুরু করেন। তবে সামান্য মূলধনে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন রশিদা। পরে ২০১৫ সালে প্রথম বারের মতো মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)- এর ‘মহিলা ঋণদান কর্মসূচি’- থেকে ঋণ নেন তিনি।
চলতি বছর পর্যন্ত রশিদা এমএসএস- এর কাছ থেকে ৫ বার ঋণ গ্রহণ করেছেন। এ পর্যন্ত ৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে তাঁর ব্যবসার সম্প্রসারণ করেছেন। রশিদার পনিরের ব্যবসার বর্তমান মূলধন ১০ লাখ টাকা। দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় তাঁর ব্যবসায়ের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে তিনি সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।
ঋণের টাকায় ব্যবসা সম্প্রসারণ করায় সেখান থেকে রশিদা বেশ ভালো রকমের লাভ করা শুরু করেছেন। ছেলে-মেয়েদের ভালো স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করানোর পাশাপাশি সাংসারিক আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি পেয়েছে রশিদার। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য উন্নতিও হয়েছে জীবনমানের। স্বামী ও নিজে কাজ করা ছাড়াও তাঁর পনিরের কারখানায় আরো ৭ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন রশিদা। এভাবেই ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি নিজের জীবনমান আরও উন্নয়নের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন রশিদা খাতুন। এমএসএস-এর সার্বিক সহযোগিতায় রশিদা এখন তাঁর অঞ্চলে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন যা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
 
             
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                   
                  
SHARE