মাদুর তৈরিতে আদরী বেগমের ভাগ্য বদল
Posted - 13 May, 2024
জীবন যুদ্ধের শুরুটা দিনমজুর হিসেবে হলেও বর্তমানে নিজ এলাকার একজন সফল উদ্যোক্তা নওগাঁ জেলার রানীনগরের বাসিন্দা মোছাঃ আদরী বেগম।
বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসারে অভাব অনটনে দিন কাটত আদরী বেগমের। সন্তান জন্মের পর অবস্থা আরও বেগতিক হয়। পারিবারিক অভাব অনটন দূর করতে রাণীনগর উপজেলার স্থানীয় কাপড় তৈরির কারিগরদের পরামর্শ নেন তিনি।
এরপর প্রতিবেশীর সহায়তায় সহজ শর্তে মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস) থেকে ঋণ নেন। ঋণের অর্ধেক ব্যয় করে মাদুর তৈরির মেশিন কেনেন আর বাকি অর্ধেক দিয়ে শুরু করেন কাঁচামালের ব্যবসা। প্রথম বছরই মাদুরের ব্যবসায় লাভের মুখ দেখেন আদরী। পরবর্তীতে সেই লাভের টাকায় এমএসএস এর কর্মীদের পরামর্শে গরু কেনেন। বর্তমানে আদরী বেগমের মাসিক আয় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। লাভের টাকায় ইতোমধ্যে নিজস্ব জমিতে টিনের ঘর তুলেছেন।
এমএসএস ৫নং জোনের ২২নং এরিয়ার ৮৭নং শাখার সদস্য আদরী বেগম জানান, পূর্বের তুলনায় তার আয় তিনগুণ বেড়েছে। কাপড় বাজারজাতকরণসহ সব কাজে তার স্বামী তাকে যথেষ্ট সাহায্য ও উৎসাহ প্রদান করছেন। ভবিষ্যতে আরও মেশিন কিনে লোক দিয়ে মাদুর তৈরীর মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণের ইচ্ছা পোষন করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, “এমএসএস সব সময় যেভাবে আমাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সেটা এক কথায় অতুলনীয়। আমার বিশ্বাস সাহস নিয়ে যে কোন কাজে এগিয়ে গেলে সেখানে সফলতা আসবেই।”
SHARE