এমএসএস এর ঋণে পলি বেগম আজ বড় ব্যবসায়ী

মোছাঃ পলি বেগম এখন কাদিরগঞ্জ গ্রাম, দরিখরবোনা ইউনিয়নের (বোয়ালিয়া, রাজশাহী) বড় ব্যবসায়ী। অথচ বছর সাতেক আগেও তিনি ছিলেন সাধারণ একজন গৃহিণী। আলাদা করে তাকে কেউ চিনতো না। স্বামীর আয়ে খুব কষ্ট করে সংসার চলতো তাদের। কিন্তু এখনকার চিত্র বেশ ভিন্ন। ইউনিয়নে হোসিয়ারি ব্যবসায়ীর কথা বললেই সবাই তার বাড়ির ঠিকানাসহ বলে দিতে পারে। পলি বেগম ৭ বছর ধরে এসএসএস-এর অগ্রসর ঋণী সদস্য। ঋণ নিয়েছেন ৭ বার। ঋণের কিস্তি এখনও চলছে। তবে এই কিস্তি পরিশোধ করার মাঝেও তার মূলধন প্রায় ৮ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। তার বর্তমান ব্যবসায়ে কর্মচারিদের বেতন বাদ দিয়েও তিনি মাসে ৬০ হাজার টাকা আয় করছেন। এ ছাড়াও তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মোট ৭ জন দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ছেলে-মেয়ে ভালো স্কুলে যাচ্ছে। তার সাথে বাসার মেরামত কাজটাও সমাধান হয়েছে। সব মিলিয়ে, পলি বেগম তার পরিবার নিয়ে বেশ ভালো আছেন। পূর্বের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা স্মরণ করে পলি বেগম খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “আল্লাহ আমার দিন ফিরাইছে। খুব কষ্টে দিন গেছে। আমার পরিবার বিশেষ করে স্বামী সব সময় আমার পাশে ছিলেন। এমএসএস আমাকে যথাসময়ে ঋণ দিয়ে সাহায্য করেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।” এমএসএস-এর ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে এমন হাজারো নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে যারা অধিকাংশই পূর্বে অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল ছিলেন।

  • SHARE

Latest Stories