ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ৮৫টি নন রিব্রিদার মাস্ক দান করলো এমএসএস

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর সংক্রমণ বাড়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও এর ব্যতিক্রম নয়। এ জেলায় করোনা সনাক্তের হার ৫০ ভাগেরও বেশি। ফলে এখানকার স্থানীয় হাসপাতালগুলো এই অক্সিজেন ব্যবস্থা সরবারহ করতে হিমশিম খাচ্ছে।

মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস) সব সময় তার সামাজিক সেবা কার্যক্রমের আওতায় অগ্নিকাণ্ড, বন্যা, খরা, সাইক্লোনসহ বিভিন্ন দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁও এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষের করোনা চিকিৎসা সেবায় পাশে দাঁড়াতে এমএসএস ৮৫টি নন-রিব্রিদার মাস্ক ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে দান করেছে।

মানবিক সাহায্য সংস্থা- এর প্রেসিডেন্ট জনাব ফিরোজ এম হাসান বলেন, “সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্ট- এ অধিক হারে সনাক্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে এ ভিড় সামাল দেওয়ার মতো হেলথ কিট এর সরবরাহ করতে পারছে না। তাই মানবিক কারণেই এ অঞ্চলের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এমএসএস ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পঁচাশিটি নন রিব্রিদার মাস্ক প্রদান করেছে।”

উল্লেখ্য, মানবিক সাহায্য সংস্থা- এর আই কেয়ার প্রোগ্রাম গত বছর থেকে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আই ক্যাম্প ও হেল্পলাইনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ৮ হাজার দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা দিয়েছে। এছাড়াও, এই চক্ষুসেবার আওতায় ৬৫০ জন ছানি রোগীকে ছানি অপারেশন করে দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

  • SHARE

Archives