সেবা ও সততায় অনন্য এমএসএস আই কেয়ার প্রোগ্রাম

এমএসএস আই কেয়ার প্রোগ্রাম। অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা দেওয়ার ব্রত নিয়ে ২০১৪ সালে যার পথ চলা শুরু। সাতটি বছর পেরিয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র মানুষের দোরগোড়ায় বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা পৌঁছে দিতে পারাটাই এই কার্যক্রমের বড় অর্জন। কারণ-

দাতাদের সম্পূর্ণ টাকা দরিদ্র ও অসহায় মানুষের চক্ষু চিকিৎসায় ব্যয় হয়  

এমএসএস আই কেয়ার প্রোগ্রাম দাতাদের কাছ থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করে, তার পুরোটাই দরিদ্র ও অসহায় মানুষের বিভিন্ন ধরনের চক্ষু চিকিৎসার (ছানি অপারেশনের পুরো প্রক্রিয়ায় খরচ, চক্ষু পরীক্ষা, অন্যান্য পরীক্ষা, ঔষধ ও চশমা) পেছনে ব্যয় করে। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন, অফিস খরচ, ডোনার সম্মাননা ও অন্যান্য সকল প্রকার খরচ এমএসএস আই কেয়ার প্রোগ্রাম-এর নিজস্ব ফান্ড ও বিভিন্ন সংস্থা/ফাউন্ডেশনের অনুদান থেকে খরচ করা হয়।

অনুদান গ্রহণ ও ব্যয়ের প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করা হয়

কোনো দাতা যখন দান করেন, তা সাথে সাথে ইসিপি ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠি/মেইল তার কাছে পাঠানো হয়। দাতা যদি তার দানটি নির্দিষ্টভাবে ছানি রোগীর জন্য দান করে থাকেন তবে তার সাথে একজন বা তার অধিক (তার ইচ্ছা অনুযায়ী) সনাক্তকৃত ছানি রোগী ট্যাগ করে দেওয়া হয়। আর ঐ দরিদ্র ছানি রোগীকে একটি ট্যাগ কার্ডের মাধ্যমে দাতার নাম জানিয়ে দেওয়া হয়। রোগীর সম্পূর্ণ তথ্য, অপারেশন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ছবি সহ একটি রিপোর্ট দাতার কাছে পাঠানো হয়। এছাড়া আই কেয়ার প্রোগ্রামের অন্যান্য সকল প্রক্রিয়া একইভাবে পরিচালিত হয়।

আই কেয়ার প্রোগ্রাম প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোরগোড়ায় চক্ষুসেবা দেয়

নয়নতরী ভ্রাম্যমাণ আই ক্লিনিকের মাধ্যমে আই কেয়ার প্রোগ্রাম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের চক্ষুসেবা দেয়, চক্ষুসেবা নেওয়ার জন্য তাদের কষ্ট করে শহরে আসতে হয় না। কারণ আই কেয়ার প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চক্ষু রোগীর সংখ্যা বেশি আর ডাক্তারের সংখ্যা কম। ভ্রাম্যমাণ আই ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রথমে চোখ পরীক্ষা করা হয়। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী বিনা মূল্যে চিকিৎসা, চশমা ও ঔষধ সরবরাহ করা হয়। কারো ছানি সনাক্ত হলে আই কেয়ার প্রোগ্রামের পার্টনার হাসপাতালের মাধ্যমে তার বিনা মূল্যে ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়।

ছানি অপারেশনের পুরো প্রক্রিয়ার খরচ আই কেয়ার প্রোগ্রামই বহন করে

ছানি সনাক্ত হলে রোগী অপারেশনের জন্য প্রস্তুত কি না তা চেক করা হয়। রোগী প্রস্তুত থাকলে তাকে দাতার সাথে ট্যাগ করে দেয়া হয়। অপারেশনের জন্য নির্ধারিত দিনে তাকে পরিবহনে করে  হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর অপারেশনের জন্য তাকে হাসপাতাল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় এবং সময় অনুযায়ী তার অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়। অপারেশন পরবর্তী অবজারভেশনের জন্য একদিন তাকে হাসপাতালে রাখা হয়। এরপর তাকে আবার তার বাসস্থানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ খরচ আই কেয়ার প্রোগ্রামই বহন করে। রোগীর কাছ থেকে এক টাকাও নেওয়া হয় না।

  • SHARE